ই-লার্নিং এর অন্যতম চ্যালেঞ্জ শিক্ষার্থীদের মধ্যকার হতাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 আপডেট টাইম : সোমবার ১১ জানুয়ারী, ২০২১

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ফৈয়াজ খান বলেছেন, ‘মহামারিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যকার হতাশা এবং ল্যাব ও লাইব্রেরিতে সরাসরি প্রবেশে বাঁধা কার্যকর শিক্ষার্জনে প্রতিকূলতা। যদিও এসব সমস্যা মোকাবেলায় বিইউবিটি কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। তবুও আমাদের অনেক কিছুই করা প্রয়োজন যার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সহায়তা জরুরী।’

গত শনিবার সন্ধ্যায় ফেইথ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ‘ই-লার্নিং এন্ড দ্য ফিউচার অব হায়ার এডুকেসন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে বক্তৃতাকালে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এসময় তিনি, কোভিড মহামারি শুরুর ৯ মাস পরও অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস/পরীক্ষা শুরু করতে না পারাসহ বিভিন্ন বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এবং নিউ নরমাল কোভিড কন্ডিশনে দেশের বিদ্যমান উচ্চশিক্ষা পরিস্থিতির নাজুক অবস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, “উচ্চ মূল্যের কিন্তু ধীর গতির মোবাইল ডাটা, দুর্বল ইন্টারনেট ব্যবস্থা, উচ্চমূল্যের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস এবং শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি প্রদানের সামর্থ হারানো ও অন্যান্য অর্থনৈতিক সংকট বাংলাদেশের কোভিডকালীন শিক্ষাখাতের চ্যালেঞ্জ বটে।”

ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন ড. ক্রিস ডেড, রিথ প্রফেসর ইন লার্নিং টেকনোলজিস, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। অন্য বক্তারা হলেন, ড. বদরুল খান, প্রেসিডেন্ট, ম্যাকউইডন এডুকেশন, ড. আফতাব উদ্দিন, সিইও, ম্যাকউইডন এডুকেশন, ড. জোসেফ রিনি করবেল, প্রফেসর, এডুকেশনাল টেকনোলজি টিচিং এন্ড লার্নিং, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস রিও গ্রান্ড ভ্যালি এবং ড. রোজি স্মিথ, সিইও, ইউনাইটেড স্টেটস ডিস্টেন্স লার্নিং এসোসিয়েশন।

ই-লার্নিং এবং শিক্ষা প্রযুক্তির নেতৃবৃন্দের আলোচনায় উঠে আসে যে- বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ভবিষ্যতের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে। বোদ্ধাগণের ভবিষ্যদ্বাণি এই যে, ভবিষ্যতের শিক্ষাব্যবস্থা অন-ক্যাম্পাস এবং অনলাইন বা হাইব্রিড মুডে চলতে পারে। তবে ধরন যাই হোক না কেন এটি চলবে সমাজের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে।

বক্তারা বলেন, ইন্টারনেট শিক্ষার্থীদের কিছু বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে কিন্তু কার্যকর উচ্চশিক্ষার জন্য সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রমও প্রয়োজন। বিশেষ করে প্রকৌশল এবং মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা শুধু ইন্টারনেট নির্ভর হলে ঠিকভাবে শিখতে পারেন না। যদিও অনেকে বলেন যে ডিজিটাল কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক শিক্ষাই আগামীতে যথেষ্ট হবে কিন্তু এটি সত্য যে, ভবিষ্যতে অনলাইন শিক্ষাই একমাত্র সমাধান হয়ে উঠবে না।

বিশেষজ্ঞগণ পরামর্শ দেন যে, শিক্ষাব্যবস্থায় পাবলিক কিংবা প্রাইভেট উভয় খাত সরকারের আরো নজরদান ও সহায়তা প্রত্যাশা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Skip to content