বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট; নিজস্ব প্রতিবেদক; ০৪ আগস্ট, ২০২৫ ০০:০০

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। গতকাল লালমাটিয়ার ব্রাইটার লাইফ স্কুলে। ছবি : কালের কণ্ঠ

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিনা মূল্যে চোখের চিকিৎসা সেবা দিয়েছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। গতকাল রাজধানীর লালমাটিয়ার ব্রাইটার লাইফ স্কুলে দিনব্যাপী এ সেবা দেওয়া হয়।

৬০ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর চোখ পরীক্ষা করে প্রয়োজনী চিকিৎসা দেওয়া হয়। বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কারিগরি সহযোগিতায় ও ব্রাইটার লাইফ স্কুল, ফেইথ বাংলাদেশ এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা অনেক সময় তাদের দৃষ্টিসংক্রান্ত সমস্যার কথা প্রকাশ করতে পারে না বা বুঝতেও পারে না। এতে শিশুর শেখার সক্ষমতা, আচরণ এবং সামাজিক যোগাযোগে প্রভাব ফেলে।

এই ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য ছিল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দৃষ্টিসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা, যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করা। পাশাপাশি শিশু ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে চোখের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোও ছিল এ কার্যক্রমের অন্যতম উদ্দেশ্য।

ফেইথ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক নিলুফার আহমেদ করিম বলেন, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমাদের এই প্রচেষ্টা। চোখের সুস্থতা মানেই শিশুর শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যৎ উন্নয়নের পথকে সুগম করা। এই ক্যাম্পেইন সেই উদ্দেশেই একটি ছোট পদক্ষেপ।’

আয়োজন প্রসঙ্গে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে এখনও এই শিশুদের জন্য বিশেষায়িত চোখের চিকিৎসাসেবা খুবই সীমিত।

এমন বাস্তবতায় বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে একটি অনুকরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তারা শুধু কারিগরি সহায়তাই দেয়নি বরং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের চক্ষু যত্নে সচেতনতা বাড়ানো এবং ভবিষ্যতে এই খাতে সেবা সমপ্রসারণের অঙ্গীকারও করেছে।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহমদের নেতৃত্বে ক্যাম্পেইনে চিকিৎসা দেন ডা. নাবিলা কবির, মো. রুবেল রানা, নিশিতা দাশ, শাহিদা আরবী মিতু, মো. আবু তোয়াব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *