বিশেষ প্রতিনিধি;
১০ মে ২০১৭, ১৮:০৬
আপডেট: ১০ মে ২০১৭, ১৯:৩৬
অটিজম আছে, এমন শিশুর অভিভাবকেরা বলেছেন, আড়াই থেকে তিন বছর বয়সী সব শিশুকে অটিজম পরীক্ষার আওতায় আনা দরকার। অভিভাবকদের কথা গণমাধ্যমকে উচ্চকণ্ঠে বলতে হবে। আর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শিশুকে ‘অটিস্টিক’ বলা অবমাননাকর। দেশে অটিজমের প্রকোপের তুলনায় পরিচর্যার সুযোগ-সুবিধা কম।
আজ বুধবার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘অটিজম ব্যবস্থাপনায় পরিবারের ভূমিকা এবং মিডিয়ার করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তাঁরা এ কথা বলেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফেইথ বাংলাদেশ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন মা নিজের ছেলের অটিজম শনাক্ত করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘অটিজমের লক্ষণ মা-বাবারা বুঝতে পারেন না। যখন শনাক্ত হয়, তখন সমস্যা অনেক দূর গড়ায়। শিশুদের টিকা দেওয়ার মতো সর্বজনীন অনেক উদ্যোগ সরকারের আছে। তিন থেকে আড়াই বছর বয়সী সব শিশুকে পরীক্ষার আওতায় আনলে সমস্যা অনেক কমে যাবে।’
একজন আইনজীবী বলেন, অটিজম শনাক্ত হওয়ার আগে তার ছেলেকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। কত জায়গায় ছেলের ভুল চিকিৎসা হয় তার বর্ণনা দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা কারও কাছে দয়া চাই না, করুণা চাই না। আমরা চাই অটিজম সম্পর্কে ঠিক তথ্য ও বার্তা গণমাধ্যমে প্রচার হোক।’
অটিজম ব্যবস্থাপনায় পরিবারের ভূমিকা শীর্ষক উপস্থাপনায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অটিস্টিক শিশু’ বলা ঠিক নয়। অটিস্টিক বলা অবমাননাকর। বলতে হবে ‘অটিজম আছে এমন শিশু’। এমন সন্তানকে আড়ালে রাখা যাবে না। তিনি বলেন, অটিজম ব্যবস্থাপনা শুধু চিকিৎসকের কাজ নয়। মা-বাবা, পরিবার, সমাজের ভূমিকা আছে। তাই ‘অটিজম চিকিৎসা’ না বলে ‘অটিজম পরিচর্যা’—এসব শব্দ ব্যবহার করা উচিত।
গণমাধ্যমের করণীয় বিষয়ক উপস্থাপনায় বিডিনিউজ২৪.কমের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম হাসিব বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে, রাখছেও।
ফেইথ বাংলাদেশের চেয়ারপারসন নিলুফার আহমেদ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে আইসিডিডিআরবির প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক আফতাব আহমেদ, অরবিসের দেশীয় পরিচালক মুনির আহমেদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শারমিন ইয়াসমিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।