পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন পুরস্কার পেলেন ভ্যালেরি ও হোসনে আরা

 প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫

জনস্বাস্থ্য খাতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডের (সিআরপি) প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী ড. ভ্যালেরি অ্যান টেলর এবং ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ পুরস্কার পেলেন।

মঙ্গলবার তৃতীয় পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন দিবস উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী আয়োজিত স্বাস্থ্য বিষয়ক এক সম্মেলনের সমাপনী দিনে তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট জাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিডিডিআর,বির উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. আব্বাস ভূঁইয়া এবং প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম. মোজাহেরুল হক। আরও বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. শারমিন ইয়াসমিন এবং ফেইথ বাংলাদেশের ভাইস-চেয়ারপারসন নিলুফার আহমেদ করিম।

আব্দুল মালিক তার বক্তব্যে রোগব্যাধির চিকিৎসা এবং তার জন্য চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চেয়ে রোগ প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা রোগের উত্তর নয়, রোগব্যাধির উত্তর হলো প্রতিরোধ।’

মালিক বলেন, বাংলাদেশের মনোযোগ এখন সংক্রামক ব্যাধি থেকে অসংক্রামক ব্যাধির দিকে সরে যাচ্ছে কারণ অসংক্রামক রোগ মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে উঠেছে। তিনি চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকদের অসংক্রামক ব্যাধি বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মতিউর রহমান চিকিৎসাশিক্ষা ক্ষেত্রে বেশ কিছু অনিয়মের কথা তুলে ধরেন এবং এক্ষেত্রে মান বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।

মোজাহেরুল হক বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে সরকারি বরাদ্দ খুব কম এবং সেই বরাদ্দও বেশিরভাগ মানুষের কাছে পৌঁছায় না। জাতিসংঘ ঘোষিত সার্বজনীন স্বাস্থ্য কাভারেজ নিশ্চিত করতে চাইলে সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।

স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীতে কোন জাতিই স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি ছাড়া অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন অর্জন করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যনীতির পরিবর্তে এখন সরকারকে জনস্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করতে হবে।

শারমিন ইয়াসমিন পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য খাতের পেশাজীবীদের গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।

সেমিনারের সম্মেলনের শেষ দিন বাংলাদেশে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কাভারেজ, অসংক্রামক ব্যাধি, মাতৃস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ২২টি গবেষণা প্রতিবেদন ও নিবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

এমইউ/এসকেডি/আরআইপি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Skip to content