স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:৫৪ পিএম
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে গড়ে ১৭জন অটিজমে আক্রান্ত। এ সমস্যা মোকাবিলা দেশের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এ কারণে বাংলাদেশের প্রয়োজন বিষয়টির প্রতি আরও দৃষ্টি দেওয়া এবং এটি মোকাবিলায় একটি সামগ্রিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা। বক্তারা বলেন, অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা সমাজের জন্য বোঝা না; তাদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে তারাও সমাজের জন্য সম্পদে পরিণত হতে পারে।
মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) মহাখালিস্থ আইসিডিডিআর,বি মিলনায়তনে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ৫দিন ব্যাপী অটিজম কর্মশালার উদ্বোধনীতে বক্তারা এ কথা বলেন। যার লক্ষ্য অটিজম ব্যবস্থাপনায় দক্ষ পেশাজীবী গড়ে তোলা। যুক্তরাষ্টের আডেলফি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতায় ফেইথ বাংলাদেশ ‘ট্রেডিশনাল থেরাপিস অ্যান্ড আর্ট মোডালিটিজ’ শীর্ষক এই কোর্সের আয়োজন করে। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অটিজম বিশেষজ্ঞরা এ কোর্সটি পরিচালনা করছেন। আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান। অন্যান্যের মধ্যে ফেইথ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক নিলুফার আহমেদ করিম উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষজ্ঞ ছিলেনÑ যুক্তরাষ্টের স্টিফেন মার্ক সোর, জোয়ানে লারা, জেন ফেরিস রিচার্ডসন ও ক্যারেন শেফার হাওয়ার্ড, যুক্তরাজ্যের আলি গোল্ডিং এবং ভারতের মানিশ সামনানি।
প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন, সমাজের উচিৎ অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের প্রতি দয়া প্রদর্শন নয়; উচিৎ তাদেরকে ভালোবাসা এবং তাদের প্রতি ভালো আচরণ করা। তিনি বলেন, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ অনেক কিছু করেছে, তবে এ ব্যাপারে এখনও অনেক করার আছে।
নিলুফার আহমেদ করিম বলেন, অটিজম বাংলাদেশের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ এবং এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।বক্তারা বলেন, অভিভাবকরা যদি শিশুদের মধ্যে কোনও রকম বৈকল্য দেখতে পান, তবে তাদের উচিৎ অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং তাদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা।